খাসখবর জাতীয় ডেস্ক : গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতা চালিয়ে আসছে চিহ্নিত একটি গোষ্ঠী। এ গোষ্ঠীর অপতৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে।
তারই অংশ হিসেবে নিজেদের নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সিলেটের সব থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।
এসব চৌকিতে হালকা মেশিনগান (এলএমজি) নিয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন থানার নিরাপত্তাকর্মীরা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলমান পরিস্থিতিতে যে কোনো ধরনের হামলা ঠেকাতে সিলেট মহানগর পুলিশের ছয়টি থানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ি এবং তদন্তকেন্দ্র ও পুলিশের স্থাপনাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গুরুত্ব অনুসারে থানা, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রে এলএমজি পোস্ট ও সিমেন্টের বস্তা দিয়ে বিশেষ ধরনের প্রতিরোধব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি থানায় ৩০ থেকে ৫০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, ফরিদপুরের সালথাসহ কয়েকটি থানায় হামলার ঘটনার পর সারাদেশের সব থানাকে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এরপর বুধবার (৭ এপ্রিল) সিলেট জেলা পুলিশ লাইনসে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির উপস্থিতিতে সিলেট জেলার সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নিয়ে একটি বৈঠক করি আমরা। ওই বৈঠকে জেলার সব থানায় বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এলএমজি চৌকি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন থানা, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা গেছে। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদ নষ্ট করা হয়েছে।
এই অবস্থায় সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) আওতাধীন ছয় থানা, সবকটি ফাঁড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, সিলেট জেলার প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। থানাগুলোতে এলএমজি সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়া ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
খখ/মো মি