খাস খবর বিনোদন ডেস্ক : প্রিয়দর্শিনী, বিশ্বদর্শিনী, অপরূপা এজাতীয় সবধরনের বিশেষণই যার সাথে যায়, তিনিই ঐশ্বরিয়া।
নীলনয়না বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের রূপের জাদুতে মুগ্ধ সারাবিশ্ব। একজন সফল অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি আদর্শ স্ত্রী ও দায়িত্বশীল মা।
অন্যদিকে, বলিউড শাহেনশাহ’র একমাত্র ছেলে এবং প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। ভালোবেসে ২০০৭ সালে ২০ এপ্রিল নিজের থেকে দুই বছরের ছোট অভিষেকের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন ঐশ্বরিয়া। দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের ১৩টি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তারা। আজ এই তারকা দম্পতির ১৪তম বিবাহবার্ষিকী।
জুটিবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘ধাই অক্ষর প্রেম কে’ (২০০০), ‘কুছ না কহো’ (২০০৩), ‘উমরাও জান’, ‘ধুম টু’ (২০০৬), ‘গুরু’ (২০০৭) এবং ‘রাবণ’ (২০১০)। ‘উমরাও জান’ ছবির সেট থেকেই শুরু হয় তাদের প্রেমের গল্প।
বিয়ের দুই বছর পর ২০০৯ সালে জনপ্রিয় মার্কিন সঞ্চালিকা অপরাহ্ন উইনফ্রে-র শো’তে দ্বিতীয়বার হাজির হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। তবে সেবার তিনি একা নন, তার সঙ্গে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক বচ্চন।
অপরাহ্ন উইনফ্রের সঙ্গে অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সেই অনুষ্ঠানেই অপরাহ্ন ঐশ্বরিয়াকে প্রশ্ন করেছিলেন ‘তুমি কখনও পর্দায় চুমু খাওনি কেন?’ অ্যাশ দ্রুত অভিষেকের দিকে ফিরে বলেন, ‘গো অন বেবি…’। এরপরই অভিষেক স্ত্রীর গালে আলতো চুমু খান।
সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীকে করা সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে অভিষেক বচ্চন বলেছিলেন, ‘এটা (চুমু) পশ্চিমী সংস্কৃতিতে যতোখানি সাধারণ চোখে দেখা হয়, ভারতের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমন নয়।
আমার মনে হয় না ভারতীয় দর্শক চুম্বনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। যেমন ধরুন, ভারতীয় ছবিতে যদি এমন কোনও দৃশ্যের পরিকল্পনা হয়- যেখানে একটা ছেলে একটা মেয়েকে দেখবে, ভালোবাসবে এবং এরপর একে অপরকে নিজেদের মনের কথা বলবে, তাহলে ভালোবাসার অভিব্যক্তি হিসেবে পশ্চিমা ছবিতে তারা একে অপরকে চুমু খাবে আর বলিউডের ছবিতে একটা রোম্যান্টিক গান শুরু হয়ে যাবে।
সেটা কি বেশি ইন্টারেস্টিং নয়? অন্তরঙ্গ একটা মুহূর্ত শুরু হবে…তারপরেই একদম সোজা কোনও বরফঢাকা পাহাড়ে পৌঁছে যাবেন আপনি..এরপর নাচ-গান। সেটা তো বেশি মনোগ্রাহী। আমার তো তাই মনে হয়।’
শ্বশুর, শাশুড়ি ও মেয়ের সঙ্গে ঐশ্বরিয়া
স্বামীর সুরে সুর মিলিয়ে ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ আমাদের গানের দৃশ্য থাকে সঙ্গে সঙ্গে, এটি দারুণ মজার।’
খখ/মো মি