জেলে সেজে চকরিয়া থানা পুলিশের অভিযান: ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ!

জব্দকৃত ইয়াবার মূল্য ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা

খাসখবর বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেস্ক: কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানা পুলিশ জেলের ছদ্মবেশে নৌপথে অভিযান চালিয়ে ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

thai foods

পুলিশ জানায়, নৌপথে মাদকদ্রব্য ইয়াবার এটি সবচেয়ে বড় চালান। তবে পাচারকারীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।

চকরিয়া থানা পুলিশ জানায়, নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় রোববার রাতে ইয়াবার একটি বড় চালান উপজেলার পশ্চিমে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাবে। এ খবর পেয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল জেলে সেজে সারারাত অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় সন্দেহভাজন একটি ট্রলারে অভিযান চালালে ট্রলারের চালকসহ লোকজন নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতরে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারে থাকা ৫টি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি ১২৫টি প্যাকেটে ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১০টা থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী নদীতে এ অভিযান চালানো হয়।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিস্তারিত জানান চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, রবিবার রাতে একাধিক বিশ্বস্ত সোর্স থেকে খবর আসে মিয়ানমার থেকে সাগরপথ হয়ে একটি ট্রলারে করে খুটাখালী নদী দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচার হচ্ছে। এ খবর পাওয়া মাত্রই চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রকীব উর রাজাসহ আমি নিজে পুলিশের একাধিক টিম নিয়ে জেলের ছদ্মবেশ ধারণ করে অভিযান শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, ধাওয়া করলে ইয়াবা পাচারকারী দলের নেতা ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী এলাকার শাহজাহানসহ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পাচারকারীদের রেখে যাওয়া ট্রলার থেকে ইয়াবাভর্তি মাঝারি সাইজের পাঁচটি ড্রাম জব্দ করে পুলিশ। বিকেল পর্যন্ত গণনা করে ড্রামগুলোতে ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে ওই পথে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয় জানিয়ে ওসি বলেন, চকরিয়া থানার ইতিহাসে এতবড় ইয়াবার চালান আগে কখনো উদ্ধার করা হয়নি। এটিই সবচেয়ে বড় চালান।

তিনি জানান, প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম কেটে একে একে ১২৫টি পোটলা বানানো হয় পোটলা। এসব পোটলার প্রতিটিতে ১০ হাজার পিস করে সর্বমোট ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবার চালান জব্দ করা হলো।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে থানার অপারেশন অফিসার রাজীব কুমার সরকার, এসআই জামাল চৌধুরী, এসআই কামরুল ইসলাম, এএসআই পারভেজ মাহমুদসহ সঙ্গীয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ অংশ নেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম জানান, ইয়াবার এই চালান উদ্ধারটি সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম বৃহৎ।
তিনি জানান, মাদকের এই বড় চালানটি কারা নিয়ে এসেছে এবং এর নেপথ্যে গডফাদারদের খুঁজতে পুলিশ কাজ করছে।

খখ/মো মি

আগেবাকলিয়ায় হুমায়ন কবির হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
পরেকর্ণফুলী থানা পুলিশের অভিযান: পাচারকালে বিলুপ্ত প্রজাতির ২টি চশমা হনুমান উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১