খাসখবর চট্টগ্রাম ডেস্ক: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শ্বশুর বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর নাম রেশমা সুলতানা রিফা। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। রিফার এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি দুবাই প্রবাসী মো.মহিউদ্দিনের স্ত্রী।
শনিবার (৯ নভেম্বর) উপজেলার আমিলাইশে এ ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতে গৃহবধূর বাবা মাহামুদুর রহমান বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় শাশুড়ি রোকেয়া বেগম ও ননদের স্বামী মো. জাফরের নাম উল্লেখ ও ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে গৃহবধূ রেশমা সুলতানা রিফা ও দুবাই প্রবাসী মো. মহিউদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে মো. তানভির ইসলাম নামে দুই বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর আগে গৃহবধূ রিফা ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, বিয়ের পর থেকে ননদের স্বামী জাফরের প্ররোচণায় শ্বাশুড়িকে দিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে নানাভাবে রিফাকে অপমান-অপদস্ত করা হতো। বিষয়গুলো গৃহবধূর বাবা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে কয়েক বার মীমাংসা করে দেন। শনিবার সকালে জাফর মোবাইল ফোন থেকে গৃহবধূর বাবাকে কল দিয়ে জানায়, তার মেয়ে অসুস্থ, কেরাণীহাট আশশেফা হাসপাতালে আসেন। পরে গৃহবধূর বাবা গিয়ে দেখেন, রিফা মারা গেছেন। এর মধ্যে শাশুড়ি ও জাফরসহ অন্যরা পালিয়ে যান।
মামলার বাদি মাহামুদুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে নিষ্পাপ। বিভিন্ন সময় মেয়ের ননদের স্বামী তার শাশুড়িকে দিয়ে ঝগড়া লাগিয়ে রাখত। চরমভাবে অপমান করা হত আমার মেয়েকে। তাদের পথের কাঁটা সরাতে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এবিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল খান। তিনি জানান, আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে গৃহবধূর বাবা মাহমুদুর রহমান বাদি হয়ে দু’জনের নাম উল্লেখ ও ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শনিবার মধ্যরাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে রোববার সকালে আদালতের পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খখ/মো মি