লক ডাউনকে ছুটি মনে করার অবকাশ নেই-মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন,মেয়র মো. রেজাউল করিম লকডাউন ছুটি

খাসখবর করপোরেশন সংবাদ : লক ডাউনকে এক সপ্তাহ ছুটি মনে করার কোন অবকাশ নেই মন্তব্য করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন,এটা বাধ্যবাধকতা।

thai foods

আজ রবিবার সকালে বাটালীহিলস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে কর্পোরেশনের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা আগে অবহেলা করেছি। এবার অবহেলার সুযোগ নেই। লক ডাউনে চসিকের জরুরী সেবা সমূহ চালু থাকবে। বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন, আলোকায়ন কাজসহ, রাস্তার প্যাচ ওয়ার্ক, হাসপাতাল ও চসিক চিকিৎসা সেবাগুলো চালু থাকবে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সরকার ঘোষিত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সাত দিনের লকডাউন প্রতিপালন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামের লালদিঘী পাড়স্থ চসিক পাবলিক লাইব্রেরী ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের দুইটি ফ্লোরে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় লক ডাউন শতভাগ কার্যকর করতে হবে। আগামী ৬ এপ্রিল আইসোলেশন সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সভাপতিত্বে ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চসিক ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আখতার চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ।

উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, জোন প্রধান আফিয়া আখতার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, আবু সালেহ, কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, সুদীপ বশাক, উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, সহকারী সচিব নজরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দিক, ফরহাদুল আলম, আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, আশিকুল ইসলাম, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ।

মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই যেখানে জলজট হতে পারে সেখানকার স্বাভাবিক পানি চলাচল ও পানি নিষ্কাসনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং নালা-নর্দমা-খালে আবর্জনা ও মাটিমুক্ত করণের কাজ চলমান থাকবে।

এছাড়া মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চাক্তাই খাল সহ অন্যান্য খালের যে সকল স্থানে বাঁধ দেয়া হয়েছে, সেখান থেকে জমাট পানি সরে যেতে বিকল্প পথ তৈরী করার কাজ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সাথে সম্বনয়ের মাধ্যমে বাধগুলো অপসারণ করতে হবে।

তিনি চসিক কাউন্সিলরদেরকে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা মূলক মাইকিং, লিফলেট, বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

খখ/প্রিন্স

আগেকরোনার বর্তমান স্ট্রেইন ৭০গুন বেশী সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পন্ন-সুজন
পরেপ্রকাশিত হয়েছে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল!