খাসখবর রাউজান ডেস্ক : রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী এলাকার একটি পাহাড় থেকে শাহানা আকতার (২৮) নামে রাউজানের এক গৃহবধুকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার মনাইর টেকনামক এলাকার দুই উপজাতি ছেলে শাহানা আকতারকে মুমুর্ষ অবস্থায় দেখতে পান।
এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অাঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তারা। মুমুর্ষ অবস্থায় শাহানা আকতার উপজাতি যুবকদেরকে নিজ নাম, গ্রামের বাড়ি ও শ্বশুড় বাড়ির ঠিকানা জানাতে পারলেও তার এ করুণ পরিণতির কোন তথ্য দিতে পারেনি।
পরে উপজাতি যুবকরা পুলিশ ও শাহানার পরিবারকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে শাহানাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
নিহত শাহানা রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছত্রপাড়া গ্রামের মান্নান উল্লাহ সিকদার বাড়ির হাছি মিয়া সিকদারের মেয়ে ও নাতোয়ান বাগিছা এলাকার শমসের নগরস্থ গুচ্ছ গ্রামের মো. সাঈদুল আলমের স্ত্রী।
লাশ উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্লাহ। বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মো. সাঈদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে গৃহবধুর মৃত্যুতে রহস্যের বেড়াজাল সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তাদের প্রতিবেশী সুজন বড়ুয়ার স্ত্রীর সাথে পরিচয়ের সুবাধে তাকে ভাই ডেকে ৩০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন শাহানা আকতার। পরে ওই টাকা চাইতে গিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
এরমধ্যে গত রবিবার রাতে শাহানা তার শ্বশুর বাড়িতেই ছিলেন। পরে কোনো এক সময় হয়তো ধারের টাকা পরিশোধের কথা বলে শাহানাকে পাহাড়ে ডেকে নিয়ে যায়। পরিবারের দাবী সুজন বড়ুয়াই শাহানার মৃত্যুর জন্য দায়ী।
রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুণ বলেন, ‘গৃহবধুর মৃত্যুর বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
খখ/প্রিন্স