খাসখবর সারাদেশ ডেস্ক : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের পাশাপাশি চাঁদপুর,ফরিদপুর ও ভোলাসহ বিভিন্ন জেলার শত শত গ্রামে আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মাহে রমজান।
সোমবার (১২ এপ্রিল) রাতে তারাবির নামাজ ও সেহেরি খেয়ে সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে একদিন আগে রোজা শুরু হয়েছে।
এ দরবারের অনুসারীরা দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের একই সঙ্গে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের ধারণা এবং আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে এভাবে রোজা, ঈদ পালন করে আসছেন।
মির্জাখীল দরবার শরীফের পীরজাদা মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা শরীফে তথা আরব বিশ্বের চাঁদ দেখার খবর পেয়ে মঙ্গলবার থেকে প্রথম রোজা শুরু করেছি।’
দরবার সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবারের বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীনের (ক.) প্রদর্শিত পথে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া, চরতি, মনেয়াবাদ, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, আমিলাইশ, খাগরিয়া ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুঁটিবিলা, চুনতি ও চরম্বা, বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর, জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ, বরুমচড়া, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়াসহ অন্তত ৬০ গ্রামের লক্ষাধিক অনুসারী এক দিন আগে রোজা পালন করছেন।
এ ছাড়া বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, নোয়াখালীতেও মঙ্গলবার থেকে প্রথম রোজা পালন শুরু করেছেন।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের মানুষ সোমবার সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রোজা শুরু করেছেন।
শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল মোল্যা জানান, এখানকার বাসিন্দারা অনেক দিন ধরেই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালন করে আসছেন।
ভোলার সদর, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার ১০ গ্রামের বাসিন্দাদের মঙ্গলবার প্রথম রোজা।
চাঁদপুরে ১৯২৮ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা রাখছেন হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।
খখ/প্রিন্স