খাসখবর চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সরকারি ঘোষণায় বাজার এবং বিভিন্ন ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পরিবহনকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণ ক্রেতা প্রতিদিনই বাজারে ভিড় করছে।
তিনি বলেন, কিছু ক্রেতা অহেতুক বাজারে যাচ্ছে। এতে করে একদিকে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাজার থেকে উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
তাই নগরীর সমস্ত ছোট-বড় বাজারগুলোকে সাপ্তাহিক বাজারের আওতায় নিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক।
আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এমন মত প্রকাশ করেন। এতে তিনি আরো বলেন, নগরীর প্রতিটি বাজার সপ্তাহে দুইদিন খোলা রাখা হোক। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সেখানে উভয় বেলা বিক্রয়ের সুবিধা রাখা হোক।
বাজারগুলোতে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার জন্য আলাদা আলাদা রাস্তা রাখা, বাজারে একবারে পঞ্চাশ জনের অধিক ক্রেতা প্রবেশ করতে না দেওয়া ও একজন ক্রেতাকে বাজার করার জন্য সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় বেধে দেওয়া হলে প্রতিদিন বাজারে আসার প্রবণতা কমবে এবং সংক্রমণের মাত্রাও হ্রাস পাবে।
বাজার কর্তৃপক্ষকে উপরোক্ত বিষয়গুলো কঠোরভাবে মনিটরিং করলেই চট্টগ্রামে উল্লেখযোগ্য হারে করোনা হ্রাস পাবে বলে তিনি মনে করেন।
একই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জীবন ও জীবিকাকে সমুন্নত রেখে সেক্টরিয়াল লকডাউন করতে সরকারের প্রতি বিনীত আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যেভাবে সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে লকডাউনের কোন বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে দেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে যে কার্যকরী উদ্যোগসমূহ গ্রহণ করেছেন তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
পৃথিবীর অনেক দেশ যেখানে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত সেখানে বাংলাদেশ এখনো যে আর্থিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে তা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের কারণে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে আমরা করোনাকে জয়ী করতে পারবো তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেক্টরিয়াল লকডাউন করতে পারলে আরো বেশি সুফল পাওয়া যেতে পারে।
খখ/প্রিন্স