এবার যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হচ্ছে হিযবুত তাহরীর

thai foods

খাসখবর আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের অন্যতম বিতর্কিত ইসলামপন্থী সংগঠন হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকর্মী সংগঠন হামাসের ইসরায়েলে হামলার প্রশংসা করার জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ইহুদিবিদ্বেষী অভিযোগে বিতর্কিত ইসলামপন্থি সংগঠন হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির সংসদ অনুমোদন করলে আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ, জার্মানি, মিশর, পাকিস্তানসহ মধ্য এশিয়া ও বেশকিছু আরব দেশে হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ হলে ব্রিটেনে আল-কায়েদা ও আইএসের মতো সংগঠনগুলোর কাতারে তালিকাভুক্ত হবে হিযবুত তাহরীর।

ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেন, হিযবুত তাহরীর একটি ইহুদিবিদ্বেষী সংগঠন। তারা সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসের প্রশংসা করে আসছে। এমনকি তারা ৭ অক্টোবরের হামলারও প্রশংসা করেছে। এই গোষ্ঠী ‘সাম্প্রদায়িক’ এবং ‘সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের প্রচার ও উৎসাহ দেয়’।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলার পক্ষ নিয়েই বিভিন্ন সময়ে বিবৃতি দিয়েছে হিযবুত তাহরীর। এতে হামাসের হামলাকে নায়কোচিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও হিযবুত তাহরীর সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করে আসছে বলে জানান ক্লেভারলি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশে হিযবুত তাহরীর অনুসারীদের ‘জিহাদ’–এর পক্ষে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হলো।

হিযবুত তাহরীর একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। তারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে সক্রিয়। যদিও সব সময় সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে এসেছে।

ব্রিটিশ সংসদে অনুমোদনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হলে দেশটিতে হিযবুত তাহরীরের কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড কিংবা সংগঠনটিকে সমর্থন জানিয়ে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বা প্রচার এবং প্রকাশ্যে সংগঠনটির লোগো ধারণও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড সাজা হতে পারে।

মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অতীতে যুক্তরাজ্যে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ২০১০ সালে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

১৯৫৩ সালে লেবাননে যাত্রা শুরু করা হিযবুত তাহরীর ৩২টি দেশে কার্যক্রম চালায়। বাংলাদেশেও সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু হয় নব্বই দশকের শেষভাগ থেকে এই শতকের শুরুর সময়ের মধ্যে।

গণতন্ত্রকে শরিয়াবিরোধী শাসনব্যবস্থা অভিহিত করে বাংলাদেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে হিযবুত তাহরীর নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে হিযবুত তাহরীরকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

খখ/মো মি

আগেশীতে কাঁপছে পুরো দেশ, জনজীবন বিপর্যস্ত
পরেদ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি