খাসখবর চট্টগ্রাম ডেস্ক: চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন, ফারুক ও ওয়াসিম আকরাম। ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়।
তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
বাকি একজনের নাম ফয়সাল আহমেদ শান্ত, তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তিনজনের মরদেহ চমেক মর্গে রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এডিসি (দক্ষিণ) মো. আশরাফুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেলে সোয়া ছয়টা পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক। আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের সংখ্যা এখন বলা যাচ্ছে না।
চমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুজহাত ইনু বাংলানিউজকে বলেন, চমেক হাসপাতালে দুইজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এর মধ্যে ফারুক নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন জানান, চমেক হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে তিনজন মারা গেছে। তিনজনই গুলিবিদ্ধ।
তিনি জানান, হাসপাতালে ৩০-৪০ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে ১০ জনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ছাড়া ১ জনের চোখ উপড়ে গেছে।
খখ/মো মি