খাসখবর কৃষি ডেস্ক : তরমুজ একটি জনপ্রিয় মৌসুমী ও পুষ্টিকর ফল। তরমুজের কথা মাথায় আসলে সাধারণত চোখে ভাসে বাইরে সবুজ ভেতরে লাল।
এমন বিবরণ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় এটি তরমুজ। মৌসুমি এই ফলটি সকলের কাছেই যেমন জনপ্রিয় তেমনি সুস্বাদুও। তবে এবার তরমুজের বাইরে সবুজ হলেও ভেতরে পাওয়া যাবে হলুদ রঙ। দেখলে মনে হতে পারে কাঁচা কাটা হলুদ মিষ্টি কুমড়া।
তবে রঙের ভিন্নতা থাকলেও স্বাদে তেমন কোন পার্থক্য নেই। তাই বাজারে এই তরমুজের চাহিদা যেমন বেশি তেমনি দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। ফলে কৃষকরা এই তরমুজ চাষ করে হচ্ছেন বেশ লাভবান।
বিশেষ করে যারা সৌখিন মানুষ এবং সৌখিন রান্নাবান্না করেন তাদের আগ্রহের কেন্দ্রে আছে হলুদ রঙের তরমুজ। এর আকার খুব বেশি বড় না হলেও প্রতিটি তরমুজ ফ্যামিলি সাইজের হয়ে থাকে।
পটুয়াখালী আঞ্চলির উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েক বছর গবেষণা করে এই তরমুজের জাতটি উদ্ভাবন করেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্ট্রিটিউট গত বছর এই তরমুজের অনুমোদন দিয়েছেন। এর নাম বারি তরমুজ-২।
পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেজাউল করিম গনমাধ্যমকে জানান, বেশ কয়েক বছর গবেষণার পর তরমুজের নতুন এই জাতটি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
চলতি বছরে ১০ জন কৃষকের মাঝে এই তরমুজের বীজ সরবরাহ করা হয়। ভিন্ন জাতের এই তরমুজ চাষে এবার ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম একটু বেশি পাওয়ায় অনেক বেশি খুশি কৃষকরা।
কৃষকরা জানায়, লাল তরমুজ যেখানে বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সেখানে হলুদ রঙের তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা যাচ্ছে।
এদিকে অন্যসব হাইব্রিড জাতের তরমুজ বছরে এক সিজনে চাষ করা গেলেও বারি তরমুজ-২ (হলুদ রঙ) সারা বছর চাষ করা সম্ভব। ফলে অসময়ে তরমুজ চাষ করেও কৃষকরা বাড়তি আয় করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
খখ/মো মি