খাসখবর আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর পরবর্তী পরিচালক হিসেবে কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল -কাশ প্যাটেল(৪৪)কে বেছে নিয়েছেন মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাশ প্যাটেল ট্রাম্পের একজন ঘনিষ্ট মিত্র এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সোশ্যাল ট্রুথে লিখেছেন, কাশ একজন চমৎকার আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যোদ্ধা। দুর্নীতি উন্মোচন, ন্যায়বিচার এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করার জন্য কাজ করেছেন প্যাটেল।
এছাড়া প্রথম মেয়াদে কাশ প্যাটেলের ভূমিকা নিয়েও প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কর্মকর্তা ছিলেন কাশ। তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চিফ অব স্টাফও ছিলেন তিনি।
গত বছরই এক অনুষ্ঠানে কাশ প্যাটেলকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তৈরি হও কাশ, তুমি তৈরি হও।
১৯৮০ সালে নিউ ইয়র্কে কাশ প্যাটেলের জন্ম। বেড়ে উঠেছেন গার্ডেন সিটিতে। তার প্রকৃত নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল। তার বাবা-মা দুজনই গুজরাটি। তারা থাকতেন কানাডায়, পরে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
কাশ ২০০২ সালে ইউনিভার্সিটি অব রিচমন্ড থেকে ইতিহাস ও আইনে ডিগ্রি নেন, দুই বছর পর ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে সনদ নেন তিনি।
আটলান্টিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাশ প্যাটেল এমন একজন যিনি ট্রাম্পের জন্য সবকিছু করতে পারেন। এ ছাড়া কাশ জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক আছে।
কাশ প্যাটেল এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী ও কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২৩ সালে তিনি ‘গভর্নমেন্ট গ্যাংস্টারস’ নামে একটি অনুসন্ধানী বই প্রকাশ করেছিলেন যার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ট্রাম্প।
যদিও এফবিআইর বর্তমান পরিচালক রেই-এর চাকরির মেয়াদ আরও তিন বছর রয়েছে। ২০২৭ পর্যন্ত তার মেয়াদ থাকলেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রেই এফবিআই এর প্রধান থাকার সময় আদালতের সম্মতিতে সরকারি গোপনীয় নথি উদ্ধারে ট্রাম্পের বাসভবনে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এ ঘটনায় তিনি ট্রাম্পের বিরাগভাজন হয়েছেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
কাশ প্যাটেলকে এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এফবিআই প্রধানদের রাজনীতিমুক্ত রাখতে তাদের পদের মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করা হয়।
শনিবার এক ঘোষণায় বর্তমান এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার রেইকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্যাটেল জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তবে প্যাটেলের মনোনয়নে সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে কিছুটা বিরোধিতা আসতে পারে। ট্রাম্প ক্ষমতায় এলেও রেই’র পদত্যাগের কোনো ইচ্ছে নেই বলে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। খবর-রয়টার্স
খখ/মো মি