খাসখবর আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী গণতন্ত্র-পন্থিরা দেশজুড়ে নতুন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
সোমবার (২৬) দেশটির জনগণকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করতে, কৃষি ঋণ ফেরত না দিতে, সন্তানদের স্কুল থেকে দূরে রাখতে ও অভ্যুত্থান পরবর্তী সংকট শেষে করতে একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে শীর্ষ জেনারেলের দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রতি ঘৃণা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, গণতন্ত্র-পন্থি আন্দোলনকারীরা তাদের আন্দোলন জোরদার করার জন্য সোমবার থেকে বিদ্যুৎ বিল জমা ও কৃষি ঋণ ফেরত না দেওয়ার এবং শিশুদের স্কুলে না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।
মধ্যাঞ্চলীয় শহর মোনিওয়াতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় আন্দোলনকারী খানত ওয়াই ফিও বলেছেন, ‘সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সফল অসহযোগ গড়ে তুলতে শহরে, ওয়ার্ডে, অঞ্চল ও রাজ্যগুলোর আমাদের সবাইকে অবশ্যই একযোগে কাজ করতে হবে।
আমরা তাদের কার্যপ্রণালীতে অংশ নেবো না, আমরা তাদের সহযোগিতা করবো না।’ তবে এ বিষয়ে জান্তা সরকারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারে ইতোমধ্যেই একটি আইন অমান্য আন্দোলনের ধর্মঘটের কারণে অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে।
এদিকে আসিয়ানের সম্মেলনে মিয়ানমারের জান্তা-প্রধান ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রধান অং সান সু চিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বানে সাড়া দেননি আর আসিয়ানের সমঝোতায় সংকট শেষ করতে কোনো সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়নি।
১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ দমাতে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার শুরু করে মিয়ানমারের জেনারেলরা।
এতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে মিয়ানমারের একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে। জান্তা সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্য-ভাবে নিয়ন্ত্রণ করায় ও বহু সাংবাদিককে আটক করায় মৃত্যুর ওই সংখ্যা তারা নিশ্চিত করতে পারেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) সম্মেলনে সহিংসতা বন্ধে দেশটির সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর ঘোষণা দিলেও সোমবার(২৬ এপ্রিল) মিয়ানমারের বড় শহরগুলোতে বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ দেখা গেছে।
খখ/মো মি