খাসখবর প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরীর দুই নম্বর গেটস্থ বাদশা মিয়া পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলডিপি নেতা এয়াকুব আলীর মালিকানাধীন ইয়াকুব ট্রেড সেন্টারে অবৈধ অশ্লীল ‘কাপল ডান্স পার্টি’তে অভিযান চালিয়ে ২৫ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করেছে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭০ ক্যান অবৈধ মাদকদ্রব্য (বিয়ার) উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে এয়াকুব ট্রেড সেন্টারের ৭ম তলা থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ এবং বাকি ১৭ জন মেয়ে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। পার্টি করার বিষয়টি থানা পুলিশের নলেজে ছিল না। এর বাইরে তাদের একজনের কাছ থেকে বিয়ার পাওয়া গেছে। তাই তাদেরকে আটক করা হয়েছে।’তারা কিভাবে সেখানে জড়ো হয়েছে কিংবা একে অপরের পরিচিত কিনা—জানতে চাইলে ‘জানা নেই’ বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
জানা গেছে, যে ভবনে অভিযান চালানো হয়েছে সেটির মালিক এলডিপি নেতা মোহাম্মদ এয়াকুব আলী। ওই ভবনের ৭ম তলার খালি ফ্লোরে গতরাতে ডিজে পার্টি চলছিল। মঞ্জু নামের এক ব্যক্তি ফ্লোরটি ৫০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে ডিজে পার্টির আয়োজন করেন। রাতে উচ্চস্বরে গান চলছিল সেখানে। আর জনপ্রতি দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে ওই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ— ডিজে পার্টির আড়ালে গভীর রাতে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল। এছাড়াও সেখানে রাতভর মাদক সেবন করে উদাম নৃত্য করে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা।
এ বিষয়ে ইয়াকুব ট্রেড সেন্টারের মালিক
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং দক্ষিণ জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এয়াকুব আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি জেনেছিলাম সেখানে জন্মদিনের অনুষ্ঠান হবে। সেখানকার কেয়ারটেকার মূলত ভাড়া দিয়েছিল ফ্লোরটি। পরে রাতে শুনতে পাই সেখানে ঝামেলা হচ্ছে। আমি ছেলে-মেয়েদের বের করে দিতে বলি। এরমধ্যে সেখানে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করেছে। সকালে পত্রিকা পড়ে বিস্তারিত জেনেছি।’
পুলিশ জানায়, সিএমপি কমিশনার, উপ-কমিশনার (উত্তর), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) ও পাঁচলাইশ মডেল থানার ওসির নির্দেশে অভিযানে অংশ নেন, এস আই মনিরুল ইসলাম, এস আই নুরুল আবছার, এস আই আলী বিন কাসিম, এস আই আজিজুল হক। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
খখ/মো মি