খাসখবর জাতীয় ডেস্ক: জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সেটা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকার বিএমএ ভবনের শহিদ ডা. মিলন হলে সম্মিলিত বাংলাদেশ পরিষদ আয়োজিত ‘কেমন দেশ চাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যারা ছিল, তারা কিন্তু জনগণের প্রতিনিধিত্ব করত। এনসিপি কিন্তু জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করে না, এটা মনে রাখতে হবে।’
এনসিপি গঠনের পরে যে নীতিতে এগোচ্ছে, তা পছন্দ হচ্ছে না ফরহাদ মজহারের। দলটির তরুণ নেতাদের বারবার সতর্ক করে দেওয়ার দাবি তুলে তিনি বলেছেন, ‘দলটি কেবল তাদের সমর্থকদের প্রতিনিধিত্ব করছে, সব মানুষের নয়।’
তিনি বলেন, ‘৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত তরুণদের বারবার বলেছি, ধীরে ধীরে তোমরা একটা বিপজ্জনক জায়গায় চলে গেছ। তোমরা যে রাজনীতির মডেল আমাদের দিচ্ছ, এটা লুটেরাদের মডেল। নির্বাচনের মডেল দিয়ে তোমরা কিছু করতে পারবে না। এই নির্বাচনের মডেল দিয়ে আমরা গণ-অভ্যুত্থান করিনি। গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে তরুণদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। এখন এনসিপি এসেছে, তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো একই।’
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজপথের মানুষ আর উপদেষ্টারা আলাদা হয়ে গেছেন। আমি মনে করতে পারছি না, তাদের সঙ্গে আদৌও আমার একসঙ্গে কোনো আন্দোলনের স্মৃতি ছিল কি না। এই দূরত্বকে গুছিয়ে সামনে এগোতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত বাংলাদেশ পরিষদের সভাপতি ড. মো. আমিরুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনাবিদ খন্দকার নিয়াজ রহমান।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি উশ্যেপ্রু মারমা।
খখ/মো মি