খাসখবর চট্টগ্রাম ডেস্কঃ এক ঘন্টার টানা বৃষ্টিতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেছে।
ঈদের নামাজ শেষ করে তখনও বাসায় ফেরা হয়নি। কেউ শিশুদের,আবার কেউ বয়োবৃদ্ধদের সাথে নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছিলেন মসজিদে। হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন সবাই।
শুক্রবার (১৪ মে) সকাল পৌনে ১০টায় শুরু হয় অঝোর ধারার ঝরে এই বিরতিহীন বৃষ্টি। স্থায়ী হয় ঘন্টাব্যাপী। এসময় ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদের যা হওয়ার তা হয়ে যায়।
এসময়ে নগরের নিম্নাঞ্চলে জমে যায় পানি। ঈদের আনন্দে শামিল হতে রাস্তায় আসা কিশোর-যুবক, বয়স্করা ভিজে একাকার হয়ে যান। শেষ রক্ষা হয়নি জায়নামাজ মাথায় দিয়েও।
এদিকে বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, চকবাজার, খাতুনগঞ্জ,আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার নিচতলার বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে গেছে। কোনো কোনো সড়কে রিকশাভ্যানে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। মধ্যরাতে আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও নদীবন্দরে কোনও সতর্কতা সংকেত নেই।
খখ/মো মি