খাসখবর অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজশাহী জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাগান থেকে পরিপক্ক আম পাড়া (নামানো) শুরু হয়েছে।প্রথম দিনেই গাছ থেকে পাড়া(নামানো) হয়েছে কেবল গুটি জাতের আম।
গোপালভোগ নামবে আরও পরে। ১৫ মে (শনিবার) সকাল থেকে এসব আম গাছ থেকে পাড়া(নামানো) শুরু হয়।
রাজশাহীর পাবা উপজেলার মথুরা গ্রামের বেশ কিছু গাছ থেকে গুটি আম পাড়া হয়েছে। এগুলো সবই প্রায় আগাম জাতের। পরে প্লাস্টিকের ক্যারেটে করে সেই আম তোলা হচ্ছে নির্দিষ্ট বাজারে।
পরিপক্ক এই আম কাঁচা অবস্থাতেই বিক্রি করা হচ্ছে ১৫ মে থেকে। রাজশাহীতে সাধারণত এই সবুজ (কাঁচা) আমই বিক্রি করা হয়। এগুলো বাড়ি নিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে রেখেই পাকিয়ে সবাই খেতে পারেন।
যে কারণে কোনো বিষাক্ত কেমিক্যালের ভয় থাকেনা। আর অল্পকিছু আম পেকে যায় গাছেই। সেগুলো খুচরা বাজারে বিক্রি করা হয়।
এদিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ও বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জাতের আম পাড়া শুরু হবে। তবে, কোনো আম আগে পাকলে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানাতে হবে। তার পরিদর্শন শেষেই গাছ থেকে নামানো যাবে আম। রাজশাহীতে সাধারণত সবার আগে পাকে গুটি জাতের আম।
জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ মে থেকে এই আমটি নামাতে পারছেন চাষিরা। আর উন্নতজাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ ২০ মে, রানিপছন্দ ২৫ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা নামানো যাবে ২৫ মে থেকে এবং খিরসাপাত বা হিমসাগর ২৮ মে থেকে নামানো যাবে। এছাড়া ল্যাংড়া আম ৬ জুন, আম্রপালি এবং ফজলি ১৫ জুন থেকে নামানো যাবে। আর সবার শেষে ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা ও বারি-৪ জাতের আম।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুটি আম প্রতি বছরই একটু আগে পাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাই অনেকেই আজ(১৫ মে) গুটি আম নামাতে শুরু করেছেন। তবে আঁশযুক্ত এই আমের স্বাদ তুলনামূলক কম।’
রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবদুল জলিল গনমাধ্যমকে বলেন, ‘বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী কেবলমাত্র গাছে পাকলেই আজ(১৫ মে) থেকে গুটি আম পাড়তে পারবেন চাষিরা। আর বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী অন্য আম পাড়তে পারবেন গাছ থেকে।’
তবে, যদি কোনো আম আগেই পেকে যায় সেগুলোও নামাতে পারবেন। সেজন্য স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে বলে তিনি জানান।
খখ/মো মি