খাসখবর চট্টগ্রাম ডেস্কঃ রিমান্ডে স্ত্রীকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিলেও আদালতে এসে শেষ মূহুর্তে অস্বীকৃতি জানান বাবুল আক্তার।
পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। এমন দাবি করেছেন পিবিআই’র তদন্ত টিমের কর্মকর্তারা।
সোমবার (১৭ মে) চট্টগ্রামের আদালতে দেওয়া এক আবেদনে এমনটাই দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তবে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হননি মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার।
গত মঙ্গলবার (১১ মে) পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে খুন হওয়া মাহমুদা খানম মিতুর মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নতুন একটি মামলা করেন মাহমুদার বাবা মোশাররফ হোসেন। সেই মামলায় ১২ মে বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নেয় পিবিআই।
পিবিআই আদালতে দেওয়া আবেদনে বলেছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল আক্তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। বিষয়টি লিখিতভাবে উল্লেখ করে পিবিআই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করে।
আবেদনের পর মামলার আসামি বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের খাসকামরায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান করেও জবানবন্দি দিতে রাজি হননি বাবুল আক্তার।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাব উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জবাববন্দি কেন দেননি ওনি (বাবুল আক্তার) ভালো বলতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।
পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদফতরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার। তবে পুলিশ তদন্তে তার সম্পৃক্ততার গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় চাকুরি থেকে অব্যাহতি নেন।
উল্লেখ্য,সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মিতু হত্যা মামলার বাদি মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন ‘গায়ত্রী অমর সিং নামে এক ভারতীয় নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ফিল্ড অফিসার গায়ত্রীর সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক হয়। তাদের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি মিতু জেনে ফেলায় তাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। পরে বাবুল ও গায়ত্রী মিতুকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন।’
গায়ত্রীকে মামলার আসামি করা হয়নি কেন জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন বলেন, এজাহারে তার নাম উল্লেখ করা আছে। তার (গায়ত্রীর) সম্পৃক্ততা আছে কি না তা তদন্ত কর্মকর্তা দেখবেন।
খখ/মো মি