সঞ্জয় সেন, পটিয়া প্রতিনিধি : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের পটিয়ায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা মিছিল থেকে পটিয়া থানায় হামলা চালায়। এ
ঘটনার পর বাংলাদেশ ইসসলামী ফ্রন্ট ও ছাত্রসেনা এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তাৎক্ষনিক হেফাজতের হামলা নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্বাগত জানিয়ে বিশাল মিছিল বের করেন।
আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকাল ৪টায় পটিয়ায় হেফাজত ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের পাল্টা পাল্টি বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় আধা ঘন্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় আশ পাশের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এসময় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। হেফাজতের নেতাকর্মীরা মিছিল থেকে পটিয়া থানায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালিয়েছে।
জানা যায়, পটিয়া মাদ্রাসার ছাত্রসহ হেফাজতের প্রায় তিন হাজার নেতা কর্মী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন এবং হাটহাজারীতে হেফাজত নেতাকর্মীদের উপর গুলি বর্ষনের প্রতিবাদে বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিলটি ডাক বাংলো পার হয়ে পটিয়া থানার সামনে এলে মিছিল থেকে হেফাজতের নেতা কর্মীরা থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁরতে থাকে। এ সময় পুলিশ প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে তারা মিছিল নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে চলে যায়।
মিছিলটি পোস্ট অফিস মোড়, মুন্সেফবাজার, উপজেলা গেইট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুণরায় মাদ্রাসায় ফিরে যায়। থানায় হামলা চালানো হলেও পুলিশ কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে এই মিছিলের পরপরই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার পক্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও নরেদ্র মোদিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল বের করে।
বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাস্টার কমরুদ্দিনের নেতৃত্বে দক্ষিন জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসাইন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রসেনার সভাপতি আল রায়হানসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
একই দিন সন্ধ্যায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল বের করেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
মিছিলে অংশ গ্রহণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম শামসুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা, তিমির বরন চৌধুরীসহ প্রায় শতাধিক নেতা কর্মী হেফাজত ইসলামের নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানান।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাস্টার কমরুদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা স্বাধীনতার পক্ষে রাজনীতি করি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমাদের গৌরব।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা আমাদের দেশে মেহেমান হিসেবে আসছে। মেহেমানদের সম্মান করা ইসলাম সম্মত, স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে হামলা চালিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছে, হেফাজতের নেতা কর্মীরা থানায় লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। পরবর্তীতে তারা মিছিল নিয়ে মাদ্রাসায় চলে যায়।
খখ/প্রিন্স