নিত্য নৈমিত্তিক ঘরের কাজের মাধ্যমেও শরীরচর্চা করা যায় এবং ব্যায়ামের মতোই উপকারও পাওয়া যায়! এতে ঘরও সুন্দর হয়ে ওঠে আর চেহারাও ছিপছিপে হয়ে যায়।
খাসখবর লাইফস্টাইল ডেস্ক : ফিগার সুন্দর করতে ইদানিং অনেকেই জিমকেই বেছে নিচ্ছেন। বিশেষ করে উচ্চ বিত্ত পরিবারের মেয়েরাই! কিন্তু সবার পক্ষে জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করা সম্ভব না।
জিমে গেলেই মোটা অঙ্কের খরচ। তারপর এই করতে হবে সেই করতে নানা ফিরিস্তি। যা শুনেই শুরু হয় মাথা ধরা। এছাড়া ডায়েটের চার্ট দেখলেই খিদে পেয়ে যায়। যদি এমনই ভাবনাচিন্তা হয় আপনার তাহলে আপনার রোগা হওয়ার জন্য করতে হবে ঘরের কাজ।
নিত্য নৈমিত্তিক ঘরের কাজের মাধ্যমেও শরীরচর্চা করা যায় এবং ব্যায়ামের মতোই উপকারও পাওয়া যায়! এতে ঘরও সুন্দর হয়ে ওঠে আর চেহারাও ছিপছিপে হয়ে যায়।
ঘর মোছা : ঘরের যে সব কাজে সবচেয়ে বেশি শারীরিক কসরত করতে হয়, তা হল ঘর মোছা। তবে আধুনিকভাবে নয়। আগেকার দিনের মতো মেঝেতে বসে মুছতে হবে। হাঁটু গেড়ে ঘর মোছার সময় পেট আর কোমরে চাপ পড়ে, পায়ের মাসলেরও ওয়ার্ক আউট হয়।
ঝুল ঝাড়া : ঘর মোছার চেয়ে এ কাজটা অপেক্ষাকৃত সহজ, কিন্তু এতেও ক্যালরি পোড়ে বিস্তর! যাঁদের পিঠ আর ঘাড়ের দিকটা ভারী, তাঁরা ঝুল ঝাড়লে দ্রুত পিঠের মেদ কমাতে পারবেন।
আলমারি বা তাক গোছানো : হাত উঁচু করে আলমারির উপরের তাক গোছালে বা দেওয়ালের উপরে লাগানো বইয়ের তাক পরিষ্কার করলেও পিঠের মেদ কমবে। এতে শরীর স্ট্রেচ হয়।
বাসন মাজা : হাত আর বাহুর জন্য এর চেয়ে ভালো ব্যায়াম নেই। ঘষে ঘষে বাসন মেজে পরিষ্কার করলে আঙুল সক্রিয় থাকে, ক্যালরিও পোড়ে অনেকটাই।
কাপড় কাচা : অনেকেই ওয়াশিং মেশিনে ব্যবহার করেন। কিন্তু তা না করে হাতে কাপড় কাচলে শরীরকে ছিপছিপে রাখতে সাহায্য করে। হাতের ব্যায়াম হয় কাপড় কাচলে।
যারা অফিস করছেন, তারা নিশ্চই ভাবছেন, এত কিছু করলে অফিস যাবেন কখন! যদি এমনটাই হয়, তাহলে দিনের একঘণ্টা করে কাজ করুন। সাতদিনে কাজ ভাগ করে নিন।
উল্লেখিত এই কটি কাজেই সব মিলিয়ে প্রায় ৬৮০ থেকে ৭০০ ক্যালরি খরচ হয়। এমন আরও আনুসাঙ্গিক অনেক কাজ রয়েছে, যার হিসাব আমরা অনেকেই রাখি না।
‘গুড হাউজকিপিং’ নামের একই আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যে দৈনন্দিন গৃহস্থালীর কাজে প্রতিদিন প্রায় ১২০০ থেকে ১৫০০ ক্যালরি খরচ হয়।
সুতরাং, যে সব মহিলারা শুধু ঘর-সংসারের দায়িত্ব সামলান (হাউজ ওয়াইফ), তাঁদের কাজও যে যথেষ্ট পরিশ্রমসাধ্য তাতে আর কোনও সন্দেহ নেই।
খখ/মোহন মিন্টু