খাদ্যকষ্টে ৮০ ভাগ গরীব পরিবার! ৬০ শতাংশ ঋণগ্রস্ত

খাদ্যকষ্টে,গরীব, পরিবার,ঋণগ্রস্ত

খাসখবর জাতীয় ডেস্ক : করোনার অতিমারির প্রভাবে সাধারণ মানুষের আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় দেশের ৮০ ভাগ দরিদ্র পরিবার তাদের নিত্যদিনের খাবার খরচ কমিয়ে ব্যয়ের সমন্বয় করছেন।

thai foods

যেভাবে দরিদ্র পরিবারগুলো খাদ্য খরচ কমাচ্ছে তাতে করে ভবিষ্যতে পুষ্টিহীনতা বাড়তে পারে। এছাড়া ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে ৬০ শতাংশ পরিবার।

বিপুলসংখ্যক পরিবার ঋণের জালে পড়েছে এবং তাদের সঞ্চয় হারাচ্ছে। তুলনামূলক হাওর ও উপকূলীয় মানুষ বেশি ঋণগ্রস্ত হয়েছে।

গত এক বছরে দরিদ্র মানুষগুলোর যে ক্ষতি হয়েছে সেটি পুষিয়ে নিতে তাদের কমপক্ষে আরো দেড় বছর সময় প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এর আগেই করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা এসেছে।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম বাংলাদেশ আয়োজিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের ফলাফল প্রকাশ করতে গতকাল (৮ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার ‘কীভাবে অতিমারিকে মোকাবিলা করছে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী : একটি খানা জরিপের ফলাফল’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজন করা হয়।

জরিপ প্রতিবেদনে আসন্ন জাতীয় বাজেটে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সুস্পষ্ট আর্থিক বরাদ্দসহ একটি নতুন ‘সামাজিক সংহতি তহবিল’ তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। নাগরিক প্ল্যাটফরমের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এতে বক্তব্য দেন।

মূল প্রতিবেদনে এই গবেষণার জ্যেষ্ঠ গবেষক ইশতিয়াক বারি বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০ খানায় একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত মার্চ ২০২০-এর তুলনায় ফেব্রুয়ারি ২০২১-এ প্রান্তিক গোষ্ঠীর আয় ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ ও ব্যয় ৮ দশমিক ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

এই পরিবারগুলোর প্রায় ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ অতিমারির ফলে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল। এদের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবারে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হয়নি।

সমীক্ষা করা পরিবারের প্রায় ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারকে বিকল্প পন্থা হিসেবে ঋণ নিতে হয়েছিল এবং সেটি পরিশোধ করতে তাদের গড়পড়তা প্রায় দুই বছর সময় লাগতে পারে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কোভিড-১৯-এর অভিঘাত বহুমাত্রিকভাবে এসেছে, যার প্রভাব কর্মসংস্থান, আয়, সঞ্চয় ছাড়াও পুষ্টিহীনতা, সহিংসতা এবং শিক্ষা খাতে ঝরে পরার ক্ষেত্রে লক্ষণীয়।

স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংস্থাদের একত্রিত করে একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। ‘সামাজিক সংহতি তহবিল’ তৈরির সুপারিশের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ ধরনের তহবিল করা যেতে পারে।

এছাড়া বাজেটে প্রান্তিক সাধারণ মানুষদের সহায়তা দিতে অন্তত তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মিডিয়া ব্রিফিং-এ সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফরমের কোর গ্রুপ সদস্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বক্তব্য প্রদান করেন।

খখ/প্রিন্স

আগেহালিশহরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পরেশ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দল ঘোষণা,তিন নতুন মুখ-বাদ সৌম্য