শিল্পী মিতা হকের মৃত্যু-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

মিতা হক,সংগীত,শিল্পী,শোক,প্রধানমন্ত্রী,রাষ্ট্রপতি, রবীন্দ্র,মারা গেছেন

খাসখবর বিনোদন ডেস্ক : বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক আর নেই। আজ রবিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

thai foods

মিতা হকের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন মুস্তাফিদ শাহিন। পরিবার সূত্রে খবর, গত পাঁচ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন শিল্পী, নিয়মিত ডায়ালাইসিস চলত।

করোনায় শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। রবিবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক : একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে রবীন্দ্র চর্চা এবং রবীন্দ্রসংগীতকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।’

রাষ্ট্রপতি মরহুমা মিতা হকের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (১১ এপ্রিল) দেওয়া শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মৃত্যুর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন মিতা হক। তবে চার দিন আগে তার করোনা নেগেটিভ আসে। তবুও শেষরক্ষা হল না।

মিতা হকের সংক্ষিপ্ত জীবনী : মিতা হক ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী এই খ্যাতনামা সংগীত শিল্পী । তাঁর মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।

খুব অল্প বয়স থেকেই রবীন্দ্র সংগীতের তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন মিতা। বাড়িতেই ছিল সংগীতের মহল। প্রথমে কাকা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মহাম্মদ হোসেন খান ও সনজিদা খাতুনের কাছে গান শেখেন মিতা।

১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে মুক্তি পেয়েছিল মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সব মিলিয়ে দীর্ঘ মিউজিক্যাল কেরিয়ারে প্রায় ২০০টির বেশি রবীন্দ্র সংগীত রেকর্ড করেছেন মিতা হক।

মুক্তি পেয়েছে ২৪টি অ্যালবাম, যার মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। সংগীতে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে মিতা হককে।

এদিন শেষ শ্রদ্ধার জন্য ছায়ানটে শায়িত রাখা হবে শিল্পীর মরদেহ। আজ রবিবার কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায় তাকে কবরস্থ করা হবে হবে বলে এই খ্যাতনামা সংগীত শিল্পীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

খখ/প্রিন্স

আগেডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকতায় প্রতিবন্ধক নয়-মোস্তাফা জব্বার
পরেচট্টগ্রামে করোনার বিষে আরও ৯ জনের মৃত্যু-শনাক্ত ২২৮