কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

রাঙামাটিতে বৈসাবী উৎসব

রাঙ্গামাটি,বৈসাবী,উৎসব,কাপ্তাই

খাসখবর পার্বত্য চট্টগ্রাম ডেস্ক : পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পালিত হচ্ছে বৈসাবী উৎসব। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে ঘরোয়াভাবে শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বৈসাবী।

thai foods

বৈসাবী উপলক্ষে আজ সোমবার(১২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শহরের ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গর্জনতলী এলাকা, অন্যান্য পাহাড়ি সম্প্রদায় ও সংগঠনের উদ্যোগে শহরের রাজবাড়ী ঘাট, বনরুপা দেবাশীষ নগরসহ কাপ্তাই হ্রদবেষ্টিত বিভিন্ন এলাকায় তাদের ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী দেশ ও সমাজের কল্যাণের জন্য কাপ্তাই হ্রদে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।

বৈসাবীতে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন থাকলে ও করোনার কারণে ঘরোয়াভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈসাবী উৎসব পালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঝিনুক ত্রিপুরা।

তিনি জানান, করোনার কারণে বৈসাবী উৎসব পালন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরোয়াভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৈসাবী উৎসব পালন করা হচ্ছে।

তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বৈসাবীতে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন খেলাধুলাসহ উৎসবের আয়োজন করা হলে ও তাদের ৩দিনই থাকে বৈসাবীর মূল আয়োজন।

তার মধ্যে আজ ১২ এপ্রিল কাপ্তাই হ্রদে ফুল বাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ফুল বিজু। আগামীকাল ১৩ এপ্রিল পাহাড়ি ঐতিহ্যবাহী পাজন, পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের রান্না করে অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে শুরু হবে মূল বিজু।

আগামী ১৪ এপ্রিল বৈসাবীর শেষ দিন শুরু হবে গইজ্জ্যা-পইজ্জ্যা উৎসব। বৈসাবীর শেষ দিনে পাহাড়িদের বাসায় তাদের ঐতিহ্যবাহী পানীয় দো-চোয়ানির মাধ্যমে অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে।

১৫ এপ্রিল মারমা জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে শুরু হবে সাংগ্রাঁই জল উৎসব। এ উৎসবের মাধ্যমেই শেষ হয় পাহাড়ের বৈসাবী উৎসব।

বৈসাবী উৎসব পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে গতবছরের মতো এবারও সরকারী নির্দেশনা মেনে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মতো বড় উৎসব বাদ দিয়ে একান্ত ঘরোয়াভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে এ উৎসব পালন করবেন এখানকার বসবাসরত পাহাড়ি জনগণ।

বৈসাবীকে চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু, মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাঁই, তঞ্চগ্যা সম্প্রদায়ের বিষু, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসু নামে পরিচিত হলে ও সকলে বর্ষ বিদায় এবং নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে এ উৎসব গুলো পালন করে থাকেন।

খখ/মো মি

আগেচসিকের মোবাইল কোর্ট : মুখে মাস্ক নেই-৬ পথচারীর জরিমানা
পরেস্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুন্দর নগরীর পূর্বশর্ত-মেয়র