খাসখবর চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় এস আলমের মালিকানাধীন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছছে বাঁশখালী থানায়।
মামলা গুলো সংঘর্ষে নিহত কোন শ্রমিকের পরিবারের পক্ষে করা হয়নি। পুলিশ ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কতৃর্পক্ষ পৃথক মামলা দুটি দায়ের করেছেন। শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে মামলা দুটি করা হয়।
এর মধ্যে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা ও হামলার অভিযোগে পুলিশের পক্ষে থানার এক এসআই বাদি হয়ে মামলা করেন। এতে আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়। তবে আসামি সবাই অজ্ঞাত।
ঠিক একইদিন শনিবার রাতে অপর আরো একটি মামলা দায়ের করেন এসএস পাওয়াপ্ল্যান্টের চীফ কোর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের অভিযোগে বাঁশখালী থানায় তার দায়েরকৃত মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আজ্ঞাত আরও ১ হাজার ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছ বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
পৃথক দুটি মামলা দায়েরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবীর। তিনি বলেন,মামলাগুলো অধিকতর তদন্ত করে আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এরআগে গতকাল শনিবার সোয়া ১১টার দিকে দাবি আদায়ে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে গোলাগুলিতে মারা যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ শ্রমিক।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়। পরে এ ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা কমিটিতে চার সদস্য এবং পুলিশের পক্ষে গঠিত তদন্ত কমিটিতে তিনজনকে রাখা হয়।
এরমধ্যে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় জেলা প্রশাসনের কমিটিকে এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে এবংসাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটিকে।
খখ/প্রিন্স