দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংক লেনদেন

চলবে, ব্যাংক, লেনদেন

খাসখবর অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় আরেক দফা লকডাউনের সময় সীমা বাড়িয়েছে সরকার।

thai foods

প্রজ্ঞাপন জারি করে সর্বাত্মক লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কারণে আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলা থাকবে দেশের ব্যাংক খাত। তবে লেনদেন চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারির মাধ্যমে জানিয়েছে, ব্যাংক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল জারি করা নির্দেশনা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংকের লেনদেন। আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।

এতে আরও বলা হয়েছে, বিধি-নিষেধ চলাকালে ব্যাংকের স্থানীয় শাখাসহ সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা ও জেলা সদরে অবস্থিত ব্যাংকের প্রধান শাখা খোলা রাখতে হবে।

সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি (এডি শাখা না থাকলে) শাখা খোলা রাখতে হবে। এ সময় উপজেলা পর্যায়ে কার্যরত প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব স্ব অফিসে আনা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিধি-নিষেধ চলাকালে যে সব শাখা বন্ধ থাকবে সে সব শাখার গ্রাহক সেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধ শাখার গ্রাহকদের গ্রাহক সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে অবহিত করতে ওই শাখার দৃশ্যমানস্থানে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে।

খোলা রাখা সব শাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ও সীমিত জনবল দিয়ে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

গ্রাহকদের হিসাবে সব ধরনের জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট, পে অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ ট্রেজারি, চালান গ্রহণ, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা, অনুদান, বিতরণ, বৈদেশিক রেমিটেন্সের অর্থ পরিশোধ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃশাখা স্থানান্তর, এনআরবি বন্ড এবং বিভিন্ন প্রকার জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেটের মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউটিলিটি বিল গ্রহণসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, বুথ সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদনে চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএমবুথে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। এটিএম বুথগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা-স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

খখ/মো মি

আগেঐশ্বরিয়া-অভিষেকের আজ ১৪তম বিয়ে বার্ষিকী!
পরেবিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই সূত্রে গাঁথা’-১৪ দল