খাসখবর বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেস্ক: নারীসহ অর্ধশত জলদস্যুর আত্মসমর্পণ করে করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। বঙ্গোপসাগর ঘিরে যাদের জীবন ও জীবিকা তাদের ‘পথের কাটা’ জলদস্যু। অন্যান্যদের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সেই জলদস্যুদের কিছু সদস্য করেছেন আত্মসমর্পণ।
যদিও এর আগে দুই দফায় আত্মসমর্পন করেছিলো এসব ‘বিপথগামীরা’। এবার নারীসহ আরও ৫০ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) হাত ধরে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা র্যাব-৭ এর এলিট হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরীফ-উল-আলম জানিয়েছেন, শর্তহীনভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের ১২টি বাহিনীর মোট ৫০ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করছে। এদের মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ এবং একজন মহিলা। এই ৫০ জন জলদস্যুর মধ্যে তিনজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত। তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি ৯০টি অস্ত্র এবং ২৮৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ৩৪২ জন কুখ্যাত জলদস্যু এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র্যাব। এছাড়া দেশি-বিদেশি মিলিয়ে সর্বমোট ২ হাজার ৬০৩টি অস্ত্রসহ ২৯ হাজার ১২৩ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, গত ২০১৮ এবং ২০২০ সালে ৭৭ জন জলদস্যু র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে সরকারি-বেসরকারি প্রণোদনায় পুনর্বাসিত হয়। যার ফলে বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া অঞ্চলে বিভিন্ন জলদস্যু বাহিনীর অপতৎপরতা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।
খখ/মো মি