খাসখবর ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীর প্রধান প্রধান কাঁচাবাজারগুলোকে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এবং পরিবেশ ও ব্যবসা বান্ধব বহুতল বিশিষ্ট কিচেন মার্কেটে পরিণত করা হবে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেল্যাপ ফান্ডের (বিএমডিএফ) এর অর্থায়নে ও চসিকের ব্যবস্থাপনায় নগরীর ৪টি স্থানে কিচেন মার্কেট প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ সমাপ্তির পথে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ‘বিএমডিএফ’র অর্থায়নে ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের ফইল্লাতলী বাজারে নির্মিতব্য ১১তলা বিশিষ্ট কিচেন মার্কেট পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। এই কিচেন মার্কেটের ১০তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে আর্ন্তজাতিক নগরীতে পরিণত করতে কাঁচাবাজারগুলোকে আধুনিকায়ন ও ক্রেতা-বিক্রেতা বান্ধব করা আবশ্যিক। বর্তমানে নগরীর কাঁচাবাজারগুলো যে হাল তা পরিসরগতভাবে অপ্রতুল এবং পরিবেশগতভাবে ক্রেতা-বিক্রেতা বান্ধব নয়।
এ কারণে সাধারণ ক্রেতারা কাঁচাবাজার মুখী নন। ফলে যত্রতত্র ভাবে যেখানে-সেখানে অনিয়ন্ত্রিত কাঁচাবাজার গড়ে উঠেছে। এর ফলে যানজটসহ জনদুর্ভোগ হচ্ছে। কিচেন মার্কেটগুলো হয়ে গেলে এমন সমস্যা থাকবে না।
কিচেন মার্কেটে কাঁচাবাজার থাকাকালে যারা ব্যবসা-পাতি করতেন তারা অবশ্যই স্থান বরাদ্দ পাবার পাশাপাশি যারা প্রকৃত কাঁচাবাজার বিক্রেতা তারাও স্থান বরাদ্দ পাবেন।
সবচেয়ে বড় কথা কিচেন মার্কেট হয়ে গেলে এখানে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ রাখার বিষয়টি প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের জন্যে সহজসাধ্য হবে।
মেয়র আরো বলেন, নগরীতে কাঁচাবাজারগুলোর কারণে যত্রতত্র বর্জ্যরে স্তুপ হয় এবং পরিচ্ছন্নতা বিঘ্নিত হয়। কিচেন মার্কেট হয়ে গেলে এমন সমস্যা আর থাকবেনা।
তিনি জানান ফইল্লাতলী ছাড়াও দেওয়ানহাট পোর্ট সিটি কমপ্লেক্স, বক্সিরহাট ও বেপারীপাড়ায় বহুতল কিচেন মার্কেট শীঘ্রই চালু হবে। অন্যান্য প্রধান কাঁচাবাজারগুলোও পর্যায়ক্রমে কিচেন মার্কেটে পরিণত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (যুগ্ম সচিব), প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দীন, নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মো. ইসমাইল, মো. জহুরুল আলম জসিম, মো. জাবেদ, মো. ইলিয়াছ, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, আবু সাদাত মো. তৈয়ব, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর, এস্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, প্রণব শর্মা, ফইল্লাতলী বাজার কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দীন, আবু তালেব চৌধুরী, ওমর ফারুক, মো. খোরশেদ প্রমুখ।
খখ/প্রিন্স