ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা নগরবাসীর সাথে প্রতারনা-সুজন

ওয়াসা থেকে সরবরাহ হচ্ছে আয়রন মিশ্রিত পানি

ঘোষণা বিদ্যুৎ সরবরাহ নগরবাসীর, প্রতারনা খোরশেদ আলম সুজন

খাসখবর চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন,রমজানকালীন সময়ে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার আহবান জানিয়েছিলাম। সেবা সংস্থার প্রধানরা নগরবাসীকে আশ্বাস দিয়েও প্রতিশ্রুতি পূরণে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন।

thai foods

নগরীর আসকার দিঘীর পাড়, ঈশান মহাজন রোড, হালিশহর, শরীফ কলোনীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি চলছে। অন্যদিকে এই রমজান মাসেও চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে আয়রন মিশ্রিত পানি। যা খাওয়ার অযোগ্য তো বটেই ব্যবহারেরও অনুপযোগী।

চট্টগ্রামে সাধারণ নাগরিকের ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এ দুই সংস্থার প্রধানদের কাছে বারবার তুলে ধরা হলে তারা প্রতিবারই শুধু আশ্বস্থ করেছেন,কথা রাখেনি।

নগরবাসীকে হাওয়াই-মিঠাইয়ের প্রলোভন না দেখিয়ে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন।

আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহবান জানান। এ সময় তিনি বলেন লকডাউন ও রমজান ছাড়া ছুটির দিনেও নগরীর বিভিন্ন স্থানে কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে যা নগরবাসীর সাথে প্রতারনার সামিল।

আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি বর্তমানে বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই। তারপরও কি কারণে নগরবাসী বিদ্যুৎ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে তা আমাদের বোধগম্য নয়।

একে তো লকডাউন তার উপর ভ্যপসা গরম, এরকম পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ নাই ভেবে দেখুন তো কি অবস্থা হচ্ছে ঐসব গ্রাহকদের? আমরা সুস্পষ্টভাবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর প্রধান প্রকৌশলীকে জানাতে চাই আপনি খবর নিয়ে দেখুন, আপনার দপ্তরে শস্যের ভিতর কোন ভুত লুকিয়ে আছে কি-না?

কি কারণে বিদ্যুৎ খাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন ভেস্তে যাবে তা অবশ্যই আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি কালবিলম্ব না করে নগরবাসীকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রদানের সবিনয় অনুরোধ জানান।

একই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের নগরবাসীর সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনই নগরবাসীর কাছে নিত্য নতুন গল্প উপস্থাপন করছে। তবে বাস্তব অবস্থা হচ্ছে নগরীর অনেকগুলো এলাকা এখনো ওয়াসার সুপেয় পানি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত।

বিশেষ করে যে এলাকা থেকে ওয়াসার পানি প্রকল্পের শুরু সে এলাকা অর্থাৎ মোহরা ওয়ার্ডটিতে এখনো ওয়াসার পানির লাইন নেই বললেই চলে।

তাছাড়া বাকলিয়া, খাজা রোড, রঙ্গীপাড়া, উত্তর কাট্টলী এবং পতেঙ্গা এলাকায় ওয়াসার পানি পাওয়া যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো। কেন কি কারনে এসব এলাকায় পানি সরবরাহ নাই তার কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।

শুধু দেখছি, এই হচ্ছে, এই হবে বলে আশ্বাসেই পরিসমাপ্তি। বৃহত্তর বাকলিয়া একটি বিশাল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই রমজান মাসে সেখানে সরবরাহ করা হচ্ছে আয়রন মিশ্রিত পানি। যা খাওয়ার অযোগ্য তো বটেই ব্যবহারেরও অনুপযোগী।

এছাড়া অন্য এলাকাগুলিতেও ওয়াসার ইচ্ছে হলে পানি সরবরাহ হয় আর ইচ্ছে না হলে হয়না। বারবার ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে আবেদন নিবেদন জানালেও কার্যত এর কোন সঠিক সমাধান তাদের কাছে আছে কিনা তা আমার জানা নেই।

বৃহৎ প্রকল্পের কারণে ওয়াসার পানির উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে কিন্তু বিতরণ ব্যবস্থার অদক্ষতার কারণে নগরবাসী তার কাংখিত সুফল পাচ্ছে না। আমরা ওয়াসার কাছে আশ্বাস নয়, মাঠে আশ্বাসের সঠিক বাস্তবায়ন চাই।

ওয়াসা এমডি বারবার নগরবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে তারা সুপেয় পানি সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ওয়াসার অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা সরকার বিরোধী কেউ সরকারের সুফলগুলো জনগনকে ভোগ করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখার আহবান জানান সুজন।

খখ/প্রিন্স

আগেদেশে আরও ৮৩ জনের মৃত্যু,শনাক্ত ২৬৯৭
পরেগ্ৰেফতার হলো হেফাজতের নায়েবে আমির আব্দুল কাদের