খাসখবর জাতীয় ডেস্ক: জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার ও দ্রুত রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পূর্তিতে আয়োজিত ‘শহিদি মার্চ’ শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত শহিদি পদযাত্রা শেষে রাতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে পাঁচ দফা ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন আবু বাকের মজুমদার।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের স্মরণে পদযাত্রাটি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পদযাত্রায় অংশ নেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত পদযাত্রাটাটি নীলক্ষেত-সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ফার্মগেট ঘুরে শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
পদযাত্রা শেষে শহিদ মিনারে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেন সমন্বয়কদের একজন আবু বাকের মজুমদার। দাবিগুলো হলো—
গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে;
শহিদ পরিবারগুলোকে দ্রুত আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা প্রদান করতে হবে;
প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে;
গণভবনকে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ ঘোষণা করতে হবে; এবং
রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।
এ সময় সমন্বয়কদের একজন সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, সেই রক্ত ও স্পিরিট বৃথা যেতে দেবো না। এখনো অনেক ফ্যাসিস্টদের অস্তিত্ব রয়েছে, আমরা ফ্যাসিস্টদের ও ফ্যাসিবাদী চিন্তা লালন করা মানুষদের বলতে চাই— এই স্বাধীন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আচরণ করার চেষ্টা করবেন না। কোনো চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট এই বাংলাদেশে হবে না।
অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, আব্দুল কাদেরসহ অনেকে।
খখ/মো মি