আবারও ঢাকা আবাহনীর ম্যানেজার পদে ফিরলেন চট্টগ্রামের ছেলে সত্যজিৎ দাশ রুপু

খাসখবর খেলা ডেস্ক: এক মৌসুম পর ঢাকা আবাহনীর ফুটবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন চট্টগ্রামের পটিয়ার সন্তান সত্যজিৎ দাশ রুপু।

thai foods

জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ককে বুধবার আবাহনীর ফুটবল কমিটির সভায় ম্যানেজারের দায়িত্বে ফেরানো হয়েছে বলে আবাহনী সূত্রে জানা গেছে।

গত বছরের অক্টোবরে রুপুর জায়গায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও আবাহনীর দীর্ঘদিনের ট্রেনার নজরুল ইসলামকে ম্যানেজার নিয়োগ দেয় আবাহনী।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ের পর থেকে আবাহনী খুব সংকটময় সময় পার করছে। বিদেশি কোচের চুক্তি বাতিল করে দেশি কোচ মারুফুল হকের নিয়োগ নিশ্চিত করেছে দুই দিন আগে। এর পাশাপাশি আবাহনীর পরিচালক পর্ষদ রুপুকে পুনরায় ম্যানেজার ও কাজী ইনামকে ফুটবল পরিচালক মনোনীত করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্লাবটির পরিচালক শেখ বশির আহমেদ মামুন।

গত মৌসুমে আবাহনীর ম্যানেজার ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। এই মৌসুমেও তিনি সংকটের মুহূর্তে কাজ করছিলেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষ অবশ্য দুঃসময়ে রুপুর ওপরই ভরসা রেখেছে। রুপু ক্লাবে আবার ফিরছেন সেটি অবশ্য খেলোয়াড় তালিকায় তার ছেলে তন্ময় দাসের নাম দেখে অনুমেয় ছিল। মারুফ-রুপু দুই জনই অত্যন্ত স্বাধীনচেতা ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। ডাগআউটে একে অন্যকে তারা কিভাবে মানিয়ে নেন সেটা দেখার অপেক্ষায় ফুটবলাঙ্গন।

আবাহনী ক্লাবের ফুটবল দল মূলত দেখতেন ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য খানিকটা আত্মগোপনে। তার অনুজ কাজী ইনামকে আসন্ন মৌসুমের ফুটবল দলের সার্বিক দিক দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাজী ইনাম ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হলেও ফুটবল দলের খোঁজও রাখতেন নিয়মিত।

নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর সত্যজিৎ দাশ রূপু বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বছর দল করাই চ্যালেঞ্জের ছিল। এর মাঝেও দল গড়া হয়েছে এবং সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাই ক্লাব কমিটি চেয়েছে আমি যেন দায়িত্ব নিই। আশা করি দলের কোচ মারুফকে নিয়ে এ বছর ক্লাবের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো।

চট্টগ্রামের পটিয়ারর ছেলে রুপু সংগঠক পরিচয়টা এত বড় হয়ে গেছে যে অনেকে মনেই রাখেন না একসময় সত্যজিৎ দাশ রুপু ছিলেন অসাধারণ এক ফুটবলার। দেশের ফুটবলে প্রথম ‘গোল্ডেন গোল’ তার। কিন্তু আলাদা কীর্তির জন্য নয়, বরং তাঁর ফুটবলের সামগ্রিকতা বিভিন্ন পজিশনে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তাকে আলাদা করে রেখেছিল নিজের প্রজন্মে। সঙ্গে ডিফেন্স ভাঙা পাস দেওয়ার অদ্ভুত ট্রেডমার্ক সৌন্দর্যটা তো ছিলই।

খখ/মো মি

আগে“ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার”-তারেক রহমান
পরেচান্দগাঁওয়ে খেলার মাঠ নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১