খাসখবর আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বামপন্থী অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। গণবিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালানোর দুই বছরের বেশি সময় পর দেশটির ক্ষমতায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এলেন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার দিকে শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কমিশন বলেছে, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বামপন্থী অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে।
তিনি ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
অনূঢ়ার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়াগার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা ও ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে।
সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট। রণিল পেয়েছেন মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট।
এর আগে শনিবার ভোট গ্রহণ শেষে গণনায় দেখা যায়, কোনো প্রার্থী নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। তাই গণনা গড়ায় দ্বিতীয় দফায়। ভোট গণনা করে রাতে নির্বাচন কমিশন ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের নেতা অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকেকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
এনপিপি জোট জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে লঙ্কান নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আরএলএএম রত্নানায়েকে জানান, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে ও সাজিথ প্রেমাদাসা। কিন্তু তারা কেউই শতকরা কমপক্ষে ৫০ ভাগ ভোট পাননি।
দ্য হিন্দু ও শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিররের প্রতিবেদন জানানো হয়, অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে পেয়েছেন ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৫ ভোট, যা মোট ভোটের শতকরা ৪২ দশমিক ৩১ ভাগ। সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৪৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫ ভোট, শতকরায় ৩২ দশমিক ৭৬ ভাগ। অন্যদিকে রনিল বিক্রমাসিংহে পেয়েছেন ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৭ ভোট (শতকরা ১৭ দশমিক ২৭ ভাগ)।
প্রথম দফার গণনায় এগিয়ে ছিলেন মার্কসবাদী ও চীনপন্থি অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। সাজিথ প্রেমাদাসা ভারতপন্থি হিসেবে পরিচিত। তার প্রতি ভারতের সমর্থন ছিল।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন দেশটির ১ কোটি ৭০ লাখ ভোটার। এবারের নির্বাচনে যেকোনো প্রার্থী নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না, এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা।
খখ/মো মি