খাসখবর আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা আশংকা জনক হারে বেড়ে গেছে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ১৪ জন প্রাণ হারালেন।
বিজেপি এসব সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহিংসতার ঘটনায় রাজ্যপালকে ফোন করে উদ্বেগ জানিয়েছেন। আর রাজ্যবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ৫ জন বিজেপি, ৫ জন তৃণমূল কংগ্রেস, একজন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের। বাকি তিনজনের রাজনৈতিক পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রবিবার থেকে মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলায় সহিংসতায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু জায়গা থেকে বোমাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় সহিংসতার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে।
গত রবিবার ভোট গণনায় তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩টি আসনে জয় পেয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসেছে। তবে এবারের নির্বাচনের শুরু থেকেই বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যকার চরম বিরোধ উত্তাপ ছড়িয়েছে।
নির্বাচন চলাকালেও কয়েকটি জায়গায় সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছিলো। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এতো বিপুল সমর্থন নিয়ে তৃণমূল জিতেছে তারপরেও কেন সহিংসতা। পুলিশের সামনে আগুন, লুটতরাজ হচ্ছে কিন্তু পুলিশ কিছু বলছে না।
এটা মেনে নেওয়া যায় না। সহিংসতায় শীতলকুচি, দীনহাটায়, কলকাতায় ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় একজন করে নিহত হয়েছে। নিহতরা বিজেপির কর্মী দাবি করে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছে।
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানে তিনজন নিহত হয়েছে যাদের নিজেদের কর্মী দাবি করেছে তৃণমূল। এছাড়া আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফোর্স বা আইএসএফ উত্তর চব্বিশ পরগনায় তাদের একজন কর্মীকে হত্যার জন্য তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেছে।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। এর আগে সোমবার তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির সাক্ষাতকালেও সহিংসতার প্রসঙ্গ এনেছিলেন রাজ্যপাল।
খখ/মো মি