খাসখবর বিনোদন ডেস্ক : ‘বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গারা মমতার এখন বড় শক্তি’ এ জাতীয় মন্তব্য করে নিজস্ব টুইটারে টুইট করার পর বিধান সভা নির্বাচনের সহিংসতা নিয়ে একটি ভিডিও আপলোড দেন কঙ্গনা রানাউত।
এঘটনার একদিন যেতে না যেতেই বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের একাউন্ট বন্ধের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা নিয়ে ভিডিও আপলোডের পরই বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি তার আপলোড করা সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অস্থিরতা ছড়াতে পারে এই মর্মে অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়।
২০২০ সালে টুইটারে যোগ দেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এরপর থেকে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো এখানে মোটামুটি সক্রিয় ছিলেন তিনি।
অ্যাকাউন্ট বাতিল হওয়ার কিছুক্ষণ আগে একটি ভিডিও আপলোড করেন তিনি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা নিয়ে একরকম আবেগঘন বার্তা দেন তিনি। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখেন, বিরক্ত, ভাষাহীন, গণতন্ত্রের মৃত্যু।
টুইটার বলছে, আমরা আগেই বলেছি, অস্থিরতা ছড়াতে পারে এমন যেকোনো কন্টেন্টের বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেবো।
স্থায়ীভাবে বাতিল হওয়া অ্যাকাউন্টটি আমাদের আইন, বিশেষ করে ‘হেটফুল কনডাক্ট পলিসি’ ও ‘অ্যাবিউসিভ বিহেভিয়ার’ লঙ্ঘন করেছে। টুইটারের আইন সকলের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য।
এর আগে, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা রনৌত।
রবিবার (২ মে) দুপুরে এক টুইট বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিজয়কে মোটেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না গেরুয়া শিবিরের এই বিতর্কিত অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, ‘মমতার বড় শক্তি এখন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা। লক্ষ্য করছি, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা আর মেজরিটিতে নেই। তথ্য নিয়ে বলছি ভারতের বাঙালি মুসলমানরা সবচেয়ে দরিদ্র আর বঞ্চিত। পশ্চিমবঙ্গ আরেকটি কাশ্মীর হতে যাচ্ছে।
খখ/মো মি