খাসখবর আন্তর্জাতিক : প্রাণঘাতী করোনা কেড়ে নিল প্রাণ। নিয়মানুযায়ী চলছিল লাশ পোড়ানোর কাজ। প্রিয় বাবার মৃত্যুর শোক সামলে উঠতে পারেনি মেয়ে। আর তাই বাবার জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিলেন মৃত ব্যক্তির ছোট মেয়ে।
আগুনে পুড়ে গিয়েছে শরীরের ৭০ শতাংশই৷ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর৷ হৃদয়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্বব্যাপী বর্তমানে করোনার হটস্পট ভারতের বারমেরে এলাকায়।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দামোদরদাস সারদার নামে ৭৩ বছরের এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার (৪ মে) হাসপাতালে মারা যান তিনি।
হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ দাহ করাতে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। বাবার শেষকৃত্যে হাজির হন তিন মেয়ে৷ তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট চন্দ্রা শারদা৷ ৩৪ বছরের চন্দ্রাই ঝাঁপ দেন বাবার চিতায়৷
শ্মশানে উপস্থিত অন্যান্যরা তাঁকে চিতা থেকে উদ্ধার করেন এবং তাৎক্ষনিক স্থানীয় একটি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় যোধপুরের একটি হাসপাতালে। চন্দ্রার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানায় চিকিৎসক।
কোটওয়ালি পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউজ অফিসার জানান, ‘দামোদরদাসের তিন মেয়ে। তাঁর স্ত্রী কিছুদিন আগে মারা গিয়েছিলেন। তা নিয়ে আগে থেকেই শোকাতুর ছিল পুরো পরিবার।
বাবার শেষকৃত্য যাওয়ার জন্য জেদ ধরেছিলেন তার ছোট মেয়ে। বাবার মৃত্যু শোক সামলে উঠতে পারেনি মেয়ে। ঝাঁপ দেয় জ্বলন্ত চিতায়।
খখ/প্রিন্স