খাসখবর জাতীয় ডেস্কঃ গেল কয়দিন ধরে ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্রোত থামাতে পারছিল না ফেরি কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ফেরিতে ঘরমুখী মানুষের জনস্রোত,তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে প্রান হারালেন ৫ জন, আহত হলেন ৫০।
জানা গেছে, মাদারীপুরের বাংলাবাজারে ফেরি থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে পৃথক ঘটনায় পদদলিত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার(১২ মে) দুপুরে পৃথক ঘটনা দুটি ঘটেছে।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে চলাচলকারী ফেরি এনায়েতপুরী থেকে নামতে গিয়ে বেলা দুইটার দিকে প্রচন্ড চাপ ও পদদলিত হয়ে চারজন মারা যান। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে শাহ পরান ফেরিতে পদদলিত হয়ে মারা যান ১জন।
পুলিশ ও ঘাট সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ১১টার দিকে শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় তিন হাজার যাত্রী নিয়ে ‘শাহ পরান নামের একটি ফেরি রওনা হয়। ফেরিটি বাংলাবাজার পৌঁছায় দুপুর ১২টায়। ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাটের ৩ নম্বর পন্টুনে নোঙর করার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত নামতে গিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে চাপা পড়ে আনচুর মাদবর (১৫) নামের এক কিশোর মারা যায়। সে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় কলিকাপ্রসাদ এলাকার গিয়াস উদ্দিন মাদবরের ছেলে। আচনুর তার পরিবারের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিল।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে আরো জানা যায়, মাঝপদ্মায় যাওয়ার পরে তীব্র গরমে ফেরির ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফেরিটি শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়লে দেখা যায় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক যাত্রী জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে।
এদের মধ্যে এক কিশোর, দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার বালীগ্রাম এলাকার নিপা আক্তার (৩৪) এবং শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কলিকা প্রসাদ এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আনচুর মাতুব্বরের (১৪) পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
খখ/মো মি