খাসখবর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : পর পারে চলে গেলেন প্রথম চন্দ্র অভিযানে অংশ নেওয়া মাইকেল কলিন্স। প্রথম চন্দ্রোভিযানে অংশ নেয়া তিন সদস্যের মধ্যে তিনিই একমাত্র জীবিত ছিলেন।
তার মৃত্যুতে বিশ্ব হারালো একজন কিংবদন্তীকে। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে বুধবার (২৮ এপ্রিল) ৯০ বছর বয়সে তিনি মারা যান। ১৯৬৯ সালে প্রথম চন্দ্র অবতরণ মিশন অ্যাপোলো ১১-তে তিন সদস্যের ক্রুর একজন ছিলেন মাইকেল কলিন্স।
মাইকেল কলিন্সের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, জীবনের শেষ দিনগুলি বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই কাটিয়েছিলেন তিনি। মাইক সর্বদা নম্রতার সাথে জীবনের প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
এই দক্ষ পাইলট এবং মহাকাশচারীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে নাসা। নাসার প্রধান মুখপাত্র ড. স্টিভ জুরসিযেক বলেন, একজন সত্যিকারের কিংবদন্তী হারালো বিশ্ব।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স এই তিনজনকে হোয়াইট হাউসে সম্মান জানিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি তিনজনকেই ‘প্রকৃত আমেরিকান নায়ক’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
কলিন্স ইতালির রোমে ১৯৩০ সালের ৩১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জেমস ল্যাটন কলিন্সের দ্বিতীয় পুত্র তিনি।
একজন আমেরিকান প্রাক্তন মহাকাশচারী, পরীক্ষামূলক পাইলট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংরক্ষিত বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ছিলেন তিনি।
বাবার সেনাবাহিনীতে চাকরির সুবাদে তার জীবনের প্রথম ১৭ বছর তিনি আমেরিকার প্রায় ১৩টি জায়গায় বসবাস করেন। এরপর কলিন্স পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ানের একাডেমিয়া দেল পেরেটুয়ো সোকোরোতে দুই বছরের জন্য অধ্যয়ন করেন।
কলিন্স ১৯৫২ সালের আগস্ট মাসে কলম্বাস, মিসিসিপি-তে কলম্বাস এয়ার ফোর্স বেস-এ টি-৬ টেক্সান-এ বেসিক ফ্লাইট প্রশিক্ষণ শুরু করেন, তারপর টেক্সাসে সান মারকোস এয়ার ফোর্স বেসে যান জেমস কনলাল এয়ার ফোর্স জেট বিমান প্রশিক্ষণের জন্য।
তিনি ওকোতে কোর্স সম্পন্ন করার জন্য তার উইংস পুরস্কৃত হয়। ১৯৫৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, তাকে ন্যাশিস এয়ার ফোর্স বেস, নেভাদা, এফ ৮৬ সাবার্স এ উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
খখ/মো মি