খাসখবর চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দরের ৯ নম্বর জেটি সংলগ্ন কর্ণফুলি নদীতে নোঙ্গর করা ইরাবতী নামে একটি অপরিশোধিত অয়েল ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এতে ঘটনাস্থলে ১ জন টেন্ডল ও ১ জন লস্কর মারা গেছেন। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরো তিনজন। তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী। তাছাড়াও বন্দরের পাইলট আবুল খায়েরের নেতৃত্বে টাগবোট কাণ্ডারী ১ ও কাণ্ডারী ১০ আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেন।
নিহত শ্রমিকদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত তিনজনের মধ্যে মনির হোসেন (৩৪) আশংকামুক্ত হলেও আবু সুফিয়ান (৪৭) ও সাহাবুদ্দিন (৬০) এর অবস্থা আশংকাজনক।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ট্যাংকারটি তেল পরিবহন করে। জেটিতে থাকা অবস্থায় ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুইঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৬০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৩ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) ট্যাংকারটি ১২০০ টন পণ্য নিয়ে আশুগঞ্জ থেকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সুপার পেট্রোক্যামিক্যাল জেটিতে আসে।
জাহাজটির এজেন্ট ঈগল রিভার ট্রান্সপোর্ট। সকালে ট্যাংকারটির ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে গেলে ঘটনাস্থলে ২ জন মারা যান। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাস জানান, সকাল ৭টার দিকে কর্ণফুলী নদীর ৯ নম্বর ঘাট এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান এখনও জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, আগুনে দগ্ধ অবস্থায় তিন জনকে সকাল নয়টার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান চমেকের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রফিক আহমেদ জানান, সাহাবুদ্দিনের শরীরের ৯৫ শতাংশ এবং সুফিয়ানের শতভাগ পুড়ে গেছে। মুনিরকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আউটডোরে পাঠানো হয়েছে।
খখ/প্রিন্স