খাসখবর আবহাওয়া ডেস্ক : বিগত সাত বছরের মধ্যে রেকর্ড দাবদাহের কবলে পুরো দেশ। প্রতিদিন রোদের তেজের সঙ্গে বাড়ছে তাপদাহ। প্রকৃতি আর প্রাণীকুল খরদাহনে হাসঁফাঁস করছে।
দিনের রোদের প্রভাবে রাতেও গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে মানুষ। সারাদেশে একটুখানি বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে মানুষ। থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে তাপপ্রবাহে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে উষ্ণ সময় পার করছে দেশ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং রাতে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আগামী ৩০ এপ্রিল বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে।
তবে ঢাকায় রবিবারের আগে বৃষ্টির কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের উত্তরাঞ্চলের বিশেষ করে রংপুর, সিলেট ও মনময়সিংহের কিছু এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে আজ।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও শ্রীমঙ্গলে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
সাত বছরের মধ্যে রেকর্ড দাবদাহের কবলে দেশ। এই অবস্থায় বিপর্যস্ত জনজীবন। দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়ে গেছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তীব্র দাবদাহ চলবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এদিকে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কার কথা জানিয়ে জনসাধারণকে যথাসম্ভব ঘরে থাকা ও তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস গনমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া ও খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট, বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ, যা অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন।
খখ/মো মি