খাসখবর রাজনীতি ডেস্কঃ অবশেষে করোনা টেস্ট রিপোর্ট থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের সঠিক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি বলেন, একাধিক জন্মদিনের নামে জাতিকে এতোদিন খালেদা জিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে করোনা টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৮ মে।
সোমবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ও করোনা সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এ সময় অবশেষে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট রিপোর্টে তার আসল জন্মদিনের সঠিক তথ্য প্রকাশিত হলো উল্লেখ করে তিনি বলেন,
অথচ কতটা নিষ্ঠুর হলে এদিনে খালেদা জিয়া এতদিন তার ভুয়া জন্মদিন পালন করে আসছিলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করা জাতির পিতার হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করারই শামিল বলে জনগণ মনে করেন। বিএনপির নেত্রী কি পারতেন না শোকাবহ ১৫ আগস্টে ভুয়া জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করতে?
বিভিন্ন সময়ে জন্মদিন পালনকারী খালেদা জিয়ার জন্মদিন বিষয়ক আসল সত্য তিনি নিজেই উন্মোচন করেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়া কেক কেটে উৎসবের সঙ্গে ভুয়া জন্মদিন পালন করতেও দেখেছে জাতি। খালেদা জিয়ার মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী জন্মদিন ৯ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল। বিবাহ সনদ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ সাল। পাসপোর্ট সনদ ১৯ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল। আবার দাবি করেন ১৫ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল তার জন্মদিন। একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে খালেদা জিয়াই উন্মোচন করেছেন। অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেয়া তথ্যে জানা গেছে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ৮ মে, ১৯৪৬ সাল।
তিনি বলেন, সপরিবারে জাতির পিতার হত্যা দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালন করা কতটা নিষ্ঠুর ও বিদ্বেষ প্রসূত রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷
বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসা নিয়ে এর আগেও রাজনীতি করেছেন, এখনো করছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তার রোগমুক্তি অবশ্যই কামনা করি। তার বয়স বিবেচনায় ও চিকিৎসার সুবিধার্থে মানবিক নেতৃত্ব শেখ হাসিনা সাজা সাময়িক স্থগিত করেছিলেন। বিএনপি নেতারা এখনো খালেদা জিয়ার চিকিৎসার চেয়ে রাজনীতিকে অধিক মনোযোগ দিচ্ছেন।
খখ/মো মি