খাসখবর চট্টগ্রাম ডেস্কঃ দীর্ঘ ৫ বছর পর হঠাৎ করে মিতু হত্যা মামলার নতুন মোড় নিয়েছে। ফিরে পেয়েছে হত্যা মামলটি নতুন প্রান। প্রধান আসামি করা হয়েছে স্বামী বাবুল আক্তারকে।
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া নতুন একটি মামলায় নিহতের স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।আদালত সমস্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা করে তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
বুধবার (১২ মে) দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় নতুন মামলাটি দায়ে করা হয়। নতুন মামলাটির বাদি হন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরিফুর রহমান। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানী শেষে ৩ টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআইতে ডাকা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই স্ত্রী হত্যায় বাবুলের সংশ্লিষ্টতা পায় তদন্তকারী দল। তাই তাকে পিবিআই হেফাজতে রাখা হয়েছিল। মামলার তদন্তের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হয় তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে মাহমুদা খানম মিতু খুন হন। মাহমুদা ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে বাবুল আক্তার মামলায় অভিযোগ করেন । তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। এক পর্যায়ে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারের নাম সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। অবশেষে দীর্ঘ ৫ বছর সেই সন্দেহ বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে।
খখ/মো মি