হাটহাজারীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ৪

হাটহাজারী লাশ সংঘর্ষ হেফাজত পুলিশ নিহত

খাসখবর নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করতে গিয়ে পুলিশের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে হেফাজত ইসলামের নেতা কর্মীরা।

thai foods

শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসা এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি মাদ্রাসা ও মসজিদ থেকে বের করা বিক্ষোভ মিছিল থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে নেতা কর্মীরা।

এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাটাহাজারী মাদরাসার তিন ছাত্র ও এক পথচারী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এছাড়া পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের মো. মেহরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহের মো. আব্দুল্লাহ মিজান, হাটহাজারীর মো. জসিম ও কুমিল্লার মো. রবিউল ইসলাম। তবে এদের মধ্যে তিনজন মাদ্রাসার ছাত্র এবং একজন হাটহাজারী এলাকার একটি টেইলার্স দোকানের কর্মী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধীতা করে জুমার নামাজের পরপরই বিক্ষোভ প্রদর্শণ শুরু করে হেফাজতের নেতারা।

বিক্ষোভ প্রদর্শণের একপর্যায়ে কিছু নেতাকর্মী হাটহাজারী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং থানায় ঢুকে ভাংচুর চালায়। তাছাড়া একই সময় হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়।

পুলিশ বাধা দিতে এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে হেফাজতে ইসলাম নেতারা। এসময় ওই এলাকা পুরো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তাছাড়া চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রাখে হেফাজতের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।

খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। থানার সামনে অবস্থান করেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ষ চলাকালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জেলা পুলিশের এএসপি ফারাবী ও এসআই মেহেদীকে মাদ্রাসার ভেতরে আটকে রেখে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ উঠে পুলিশের পক্ষ থেকে।

প্রায় তিন ঘন্টা পর ওই পুলিশ সদস্যদের পোশাক খুলে নিয়ে আহত অবস্থায় তাদের রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়। পরে গুরুতর আহত এএসপি ফারাবি ও এসআই মেহেদীসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মছিউদ্দৌল্লাহ রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, “মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বিনা উসকানিতে হেফাজত কর্মীরা থানায় হামলা চালায়। তারা থানা কম্পাউন্ডে ব্যাপক ভাঙচুর করে।”

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, হাটহাজারীতে হেফাজত আমাদের সরকারি অফিসগুলোতে তাণ্ডব চালিয়েছে। থানা ভাঙ্চুরসহ ও ভূমি অফিসেও আগুন দেয় তারা।

আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এলে হেফাজতের কর্মীরা ভূমি অফিসে প্রবেশে তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশের ধাওয়ার খেয়ে হেফাজত কর্মীরা মাদ্রাসা গেইটে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে। বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সড়কে তাদের অবরোধ অব্যাহত ছিল বলে ইউএনও জানান।

খখ/প্রিন্স

আগেপ্রেমের জের, শীতলপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
পরেলাশের অপেক্ষায় নেতারা, শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ-রবিবার হরতাল