খাসখবর চট্টগ্রাম ডেস্ক: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে
বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলা বারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ অভিযানে ১০ টি অস্ত্রসহ ৭২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে বাঁশখালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গন্ডামারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড খাস পাড়ায় লিয়াকত আলীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়।
গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে লিয়াকত আলীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০টি অস্ত্রসহ ৭২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৫টি দেশীয় তৈরি এলজি, ২টি কাটা একনলা বন্দুক, একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ৭২ রাউন্ড গুলি, ২৬টি কাতুর্জ, ৫টি চাইনিজ কুড়াল, একটি কিরিচ, ৬টি কাঠের বাটযুক্ত ধারালো রাম দা এবং ৪০টি বিভিন্ন সাইজের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
ওসি তোফায়েল আহমেদ আরও জানান, লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, পুলিশকে আক্রমণ, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭২ সালের অনুচ্ছেদ- ৭৩(২খ) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ধারাসহ সর্বমোট ২১টি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন।
২০১৬ সালে বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনা আসেন বাঁশখালীর বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী। আন্দোলনকারী বসতভিটা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ওই বছরের ৪ এপ্রিল গন্ডামারা ইউনিয়নে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করে বসতভিটা রক্ষা কমিটির ব্যানারে আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়। সেসময় লিয়াকতের বাড়ি থেকে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানায়, তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও হয়। পরে বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
খখ/মো মি