খাসখবর আইন আদালত ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে শাহাদাতকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সাথে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ নারী নেত্রীর রিমান্ড না মঞ্জুর করলেও বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (৩১ মার্চ) অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ড নামঞ্জুর হওয়া নারী নেত্রীরা হলেন – আঁখি সুলতানা (৪২), দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটা (৩৫), রিনা বেগম (৪০), ফাতিমা কাজল (৩৫)।
এ ছাড়া একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ১১ নেতা হলেন, মারুফুল হক (৪০), মো. ফিরোজ (৩৪), তারেক আজিজ (২৪), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫), সাঈদ তানজিম মাহমুদ (২০), আব্দুর রহিম প্রকাশ মিনার রহিম (২২), আলী আকবর হোসেন (১৯), লিটন (২২), হায়দার হোসেন (৪১), সাকিব হোসেন (১৯) ও কিং মোতালেব (৪২)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রীর দায়ের করা অপহরণের অভিযোগ ও চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেফতার হওয়া চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসনকে দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল পুলিশ। তবে আদালত পুলিশের সেই আবেদন নাকচ দেন আদালত। তবে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে কোতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে কারাবন্দী ১১ পুরুষ বিএনপি নেতাকর্মীদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে একই মামলায় অপর পাঁচ মহিলাদলের নেত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে, সোমবার বিকালে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্তত ১৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
সেদিন সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ এলাকার বেসরকারি ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নিজ চেম্বার থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহাদাত হোসেন ও তার সহকারী মারুফুল হককে।
বিএনপি নেত্রী লুসি খানের দায়ের করা এক কোটি টাকার চাঁদা দাবির মামলায় ডা. শাহাদাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুরের অন্য দুই মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঘটনার পরদিন বিকেলে ডা. শাহাদাতসহ ১৭ আসামিকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, আবেদনের প্রেক্ষিতে ডা. শাহাদাতকে ডিভিশন দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। পরে সব আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
খখ/প্রিন্স